ঢাকা: প্রতারণার দায়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়া এহসান গ্রুপের পক্ষে কথা বলা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেছেন, সেখানে আমি বক্তা হিসেবে গেছি। ওলিপুরী সাহেব গেছে, হাটহাজারীর হুজুরে গেছে, আজিজুল হক মাদানী, খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী সহ আমাদের লাইনের যত উল্লেখযোগ্য বক্তা এবং ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসা মুহতামিম সাব শায়খুল হাদিস সাব সবাই ওখানে উপস্থিত ছিলেন।
এহাসান গ্রুপের প্রচারণার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওখানে বক্তা হিসাবে গেছি। বক্তা হিসেবে বক্তব্য দিছি। ওখানে অনেক আলেম ওলামা ওটার সাথে জড়িত দেখলাম, সে হিসেবে এটার একটা প্রচারণা করলাম যে, হ্যাঁ সুদ মুক্ত যদি হয় খুব ভালো। সে ক্ষেত্রে কিছু কথা ওয়াজের প্যান্ডেলে বলছি শেষ সময়ে এটাও বলছি যতদিন তারা হকের সাথে থাকবে আল্লাহ বারাক। যদি আল্লাহ না করুক দুনিয়ার লোভ ভিতরে ঢুকে সেই ক্ষেত্রে সবাই সতর্ক হোন আল্লাহ আমাদের এর হেফাজত করুক… এই কথাটা তারা কাট করে এটা দেয়নি। এই শেষের অংশটা কে তারা ছাড়েনি।
প্রচারণা চালানো কতটুকু যুক্তিসম্মত হয়েছে জানতে চাইলে হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, না। আমি গিয়েছি ওখানে ২০১৮ সালে যাওয়ার ৬ মাস পরেই তো এই ঝামেলা শুরু হয়েছে। এর আগে থেকেই তাদের সদস্য ছিল। ২০০৭ সাল থেকে তাদের কার্যক্রম ৫০ হাজারের মত তাদের সদস্য, আমারে দেইখা কি সদস্য হইছে নাকি? এখানে আমারই কি! আমি না ২০১৮ সালে বক্তব্য দিলাম।
সে (অভিযুক্ত রাগীব আহসান) আমারে একদিন টেলিফোন করছে হুজুর বিপদে আছি দোয়া কইরেন। এর পর তো মিডিয়াতে খবর আইয়া গেল এই অবস্থা… পরে আর তেমন সম্পর্ক তার সাথে নেই।
প্রসঙ্গত, এই কোম্পানির বিরুদ্ধে আনুমানিক ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছে গ্রাহকরা।গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের মামলায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান রাগীব আহসানসহ তার চার ভাইয়ের সাতদিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। বর্তমানে তারা রিমান্ডে রয়েছেন।
নিউজ গার্ডিয়ান/ এমএ/