ই-কমার্সের জন্য নতুন আইনের দরকার হবে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ। আজ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেন, গত ১ জুলাইয়ের পর থেকে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ২১৪ কোটি টাকা পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে আছে। এগুলো ফেরত দেওয়ার উপায় বের করা হচ্ছে। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। তবে ১ জুলাইয়ের আগের পাওনাদারদের বিষয়ে কোনো মন্ত্রীই সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলেননি। এ ছাড়া ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর নিতে হবে।
তিনি বলেন, টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি একটি বড় ইস্যু হয়ে গেছে। এটার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি দেখবে। নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সত্যিকার অর্থে জুলাই থেকে যাদের টাকা আটকে আছে সেগুলো যেন তাদের কাছে ফেরত যায়। এ বিষয়ে যেসব আইনি জটিলতা আছে, সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। ব্যবস্থা নিচ্ছি, একটু সময় লাগবে।
মন্ত্রী বলেন, জুলাই থেকে পেমেন্ট দিয়ে যারা বিভিন্ন কারণে ফেরত পাননি, ফ্রিজ করে রাখা হয়েছে, সেটা ক্লিয়ার করে তারা যেন পান, সে লক্ষ্যে কাজ করা হবে। মন্ত্রিসভা থেকে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে, তারাও কাজ করছে। আপাতত মনে হচ্ছে, মাস তিনেক লেগে যাবে, সব ব্যাপার একটা সিস্টেমের মধ্যে আনতে।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি জানান, ৩০ জুন এসক্রো সার্ভিসের নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। ১ জুলাই থেকে যেসব ট্রানজেকশন হয়েছে, সেই ট্রানজেকশনের বিপরীতে টাকা ব্লক করা আছে। যেটা ডেলিভারি হয়নি, সেই টাকাটা পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে আছে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে কাস্টমার ও টাকার পরিমাণ আইডেন্টিফাইড। সেগুলো আমরা আইনি জটিলতা কাটিয়ে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করব।
তিনি আরও বলেন, যেটা এসক্রো অ্যাকাউন্টে আছে, সেটা দেওয়া হবে। যে টাকা ই-কমার্স কোম্পানি নিয়ে গেছে, সেটা তো বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে নেই, সেটা তো দিতে পারব না।
ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন এটুআই ই-কমার্স খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছে।
নিউজ গার্ডিয়ান/ এমএ/