জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ৪৫ তম আবর্তনের এক ছাত্রীর গোপনে ছবি তোলায় এক যুবককে গণধোলাই দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাসে করে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে ওই ছাত্রীর সাথে এই ঘটনা ঘটে।
ভূক্তভোগী ছাত্রীসূত্রে জানা যায়, বাসের সিটে বসা অবস্থায় সে বুঝতে পারে পাশের সিটে থাকা যুবক মোবাইলে তার ছবি তুলছে। তখন সে ঐ যুবকের হাত থেকে টান দিয়ে মোবাইল নিয়ে চেক করে দেখতে পায় সত্যিই যুবকের মোবাইলে লুকিয়ে তোলা নারী শিক্ষার্থীর ৩ টি ছবি রয়েছে। প্রমাণ পাবার পরই তিনি তার সহপাঠীদের ফোনে বিষয়টি জানায় এবং বাস জাবির প্রধান ফটক ডেইরী গেটে আসলে ঐ যুবককে বাস থেকে নামিয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে নিয়ে আসা হয়। এরপর সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা যুবককে গণধোলাই দিয়ে ঐ নারী শিক্ষার্থীর পা ধরে মাফ চাওয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন ও নিরাপত্তা কর্মী দাউদ মোল্লার হাতে সোপর্দ করে।
পরে ওই যুবককে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
যুবকের ভাষ্যমতে, তার নাম রনি আহমেদ এবং বাবার নাম মোক্তার আহমেদ। গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী। সে সাভারের জিকা গার্মেন্টসে চাকরী করে এবং সাভারের ইমান্দিপুর এলাকার মালেক সাহেবের বাড়িতে ভাড়া থাকে।
যদিও তার মানিব্যাগে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম মোঃ আলী এবং বাবার নাম মোঃ রফিক উল্লেখ আছে।
নিউজ গার্ডিয়ান/ এমএ/