রাকিবুল হাসান সৌরভ:
নারী সৃষ্টির রহস্য, নারী স্নেহময়ী, নারী শ্রেষ্টা! নারীদের নানান উৎসাহ,উদ্দীপনার ভীড়ে মনের অজান্তেই রয়েছে নানান ভীতি,দুঃচিন্তা ও উৎকন্ঠা। নারী দিবসে দেশের ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষাঙ্গনের বিভিন্ন নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে আশা-নিরাশা,সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন রাকিবুল হাসান সৌরভ।
মুন্নী চৌধুরী
শিক্ষার্থী, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগ,
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়(জাককানইবি)।
নারী’ শব্দটি শুনলেই যেনো কিছু মানুষের মনে জেগে উঠে, আরে সে তো নারী কি আর এমন করবে। নারীর দৌড় কত দূর তা জানা আছে!
নিজেই যখন রাস্তা ঘাটে বের হই বা একটু সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরি একেক জনের তাকানো দেখে মনে হয় যেনো আমি কোনো মানুষকে খুন করে বাড়ি ফিরেছি। তাদের চোখে মুখে যেনো এক আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। কারন তারা কাউকে নিয়ে কটু কথা বলার সুযোগ পেয়েছে, আলোচনা-সমালোচনা করতে পারছে।
তবে আমার খারাপ লাগা থেকে যেনো ভালো লাগাটাই বেশি কাজ করে। মনে হয় যেনো যাক কিছু মানুষের মনের হাসির খোরাক ত হতে পেরেছি।
কিছু মানুষকে আনন্দ দিয়ে নিজেকে যেনো আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।
ধন্যবাদ জানাই সেসকল মানুষকে যাদের কারনে নিজেকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাই।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস নারীদের কাছে অত্যান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ এই দিনে তারা তাদের সম্মান এবং কাজের পারিশ্রমিক আদায়ের জন্য প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
নারী দিবস পালন করার মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজের সর্বস্তরে নারীদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা।
সবশেষে সকলকে জানাই নারী দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা।
রুমানা মিম ,
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ,
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)।
৮ই মার্চ বিশ্ব নারীদিবস। এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা নারীদের প্রতি সম্মানের উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক ভাবে উদযাপন করা হয়।নারীদের সমতা নিয়ে আলোচনা,নারীদের মযাদা রক্ষাথের এই দিনটির মহিমা অপরিসীম।স্বাধীনতার ৫০ বছরে সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্যের পেছনে নারীর অবদান অনস্বীকার্য। সমাজের প্রচলিত কথা পুরুষরাই সবকিছু তেই এগিয়ে কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, দক্ষতা-যোগ্যতা, কোনো বিষয়ে কম নয় নারীরা তারা আজ আধুনিক সমাজ গড়ে তোলার শ্রেষ্ঠ কারিগরি এবং রাজনৈতিক মঞ্চ হতে সকল শ্রেণিতেই নারীরা সাফল্য অর্জন করছে। তাই এই নারী দিবসে নারীর অধিকার, সম্মান রক্ষায় সবাই হোক সোচ্চার।
লিমা আক্তার
শিক্ষার্থী, ব্যাবসায় প্রশাসন বিভাগ,
গ্রীণ ইউভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (জিইবি)।
একজন নারীর জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী কাজ হলো নিজেকে ভালবাসা, নিজেকে তৈরী করা এবং সবার মধ্যে তুলে ধরা যারা কখনও বিশ্বাস করেনি যে সে পারবে।
আমি একজন নারী হিসাবে এত বছর ধরে শুনেছি, ‘যথেষ্ট পাতলা নয়, যথেষ্ট সুন্দর নয়, যথেষ্ট স্মার্ট নয়, যথেষ্ট নয়, প্রায় রাতারাতি আমি একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবলাম “আমি যথেষ্ট”।
নারীরা একসাথে দলে অবিশ্বাস্য ভয়ঙ্কর। সে অর্থে পুরুষদের কিছুই নেই।
আমি চাই না যে নারীরা পুরুষের উপর কর্তৃত্ব করুক।
নারীকে ভালোবাসার জন্য তৈরি করা হয়েছে, বোঝা হওয়ার জন্য না।নারীরাই হলো সমাজের প্রকৃত স্থপতি।নারীরা পারেনা এমন কাজ খুব কম তবে সব কাজ পুরুষরা পারে তা যথার্থ নয়।সমাজে সব মানুষ সমান তা -হোক নারী কিংবা পুরুষ। নারীরা ছাড়া সমাজ যেনো অর্ধপূর্ণ। নারীদের পিছিয়ে রাখতে নেই। নারীদের জন্ম শুধু ঘর,বর,আর বাচ্চা সামলানোতে সীমাবদ্ধ রাখা মোটেই উচিৎ না তাদেরর সুযোগ করে দিতে হবে আমাদের সকলের। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে -যে রাঁধতে পারে,সে চুল ও বাঁধতে পারে।
তোফা
আইন শিক্ষার্থী, বিভাগ,
ইষ্টার্ণ ইউনিভার্সিটি (ইইউ)।
আপনার চারিদিকের নারীদের সম্মান দিন, তার যোগ্যতার মর্যাদা দিন, তার এগিয়ে যাওয়াকে গ্রহন করে সম্মান দিন মানুুষের সামনে তাদের কাজ কে ছোট করে উপস্থাপন করা থেকে বিরত থাকুন তাহলেই হবে।যোগ্যতা দিয়ে সবাইকে এগিয়ে যেতে দেয়ার মধ্যেই আপনার পারিবারিক শিক্ষা আপনার মধ্যে প্রতিফলিত হয়, সাথে আপনার সম্মানবোধও। সমাজের অনেক নারীরা তাদের নিজের পরিবারে এখন ও নিপিরিত তাদের তাদের যোগ্য অধিকার দিন তাতেই সুস্থ্য একটা সমাজ পাব। যেখানে সমাজের অর্ধেক টাই নারী আর অর্ধেক টাই আস্য নারী থেকে সেখান্য নারীর মুল্য কতটুকু?
নিউজ গার্ডিয়ান/ এমএ/