পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী জেলায় রাঙ্গাবালী উপজেলাধীন ৬নং মৌডুবী ইউনিয়ন পিরষদ
নির্বাচন আগামি ৭ ফেব্রæয়ারি। এ নির্বাচনকে ঘিরে পুরো এলাকা জুড়ে
বিরাজ করছে টান টান উত্তেজনা। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর গণজোয়ার ঠেকাতে মরিয়া হয়ে
উঠেছে বিএনপি- জামায়াত সমর্থিত নৌকাবিরোধী প্রার্থী। নৌকা
প্রতীকের বিপরীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন হাসান
মাহমুদ শাকুর (চশমা প্রতীক)। স্থানীয় ভোটারদের মাঝে ভয় ভিতি দেখিয়ে প্রভাব
বিস্তার করতে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে বহিরাগত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের
ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে তার তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মনোনিত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রাসেল উপজেলা নির্বাচন কমিশন বরাবর
অভিযোগপত্র দিয়েছেন।
অভিযোগপত্র অনুসারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে
অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করতে প্রায় দেড় শতাধিক বহিরাগত ভাড়াটে গুন্ডা
বাহিনী ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে তারা
নৌকা সমর্থিত কয়েকজন প্রচারকর্মীকে হুমকী-ধমকী দিয়েছেন বলে অভিযোগ
উঠেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জানান,
‘আমরা জাতির পিতার আদর্শে বিশ্বাসী করে জনগণের ভালোবাসা নিয়ে জয়লাভ
করব। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন এই অঞ্চলের মানুষ কোনদিন ভুলতে পারবে না।
অবৈধ হামলা, হুমকী ও বহিরাগতদের প্রভাব মুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নৌকার
গণজোয়ার কেউ ঠেকাতে পারবে না।’ তিনি সুন্দর নির্বাচন আয়োজন করতে
সকল ভোটার, রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বাত্মক সহায়তা
কামনা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চশমা প্রতীকের আওয়ামী লীগ বিরোধী প্রার্থী হাসান
মাহমুদ শাকুর বলেন, ‘আমার কয়েকজন আত্মীয় বেড়াতে এসেছেন। তারা
নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করলেও কারও সাথে খারাপ আচরণ করেছে বলে
শুনিনি।’ বহিরাগত এসকল লোকজন শিগগিরই চলে যাবেন বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাচন কমিশনার জানান, ‘নির্বাচনী
প্রচারণায় বহিরাগতদের ব্যবহার নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। অভিযোগের
বিষয়টি আমলে নিয়ে শিগগিরই নির্বাচনী এলাকায় ভ্রম্যমান আদালত ও
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অবস্থান করবেন।’