জাফর আহমেদ শিমুল:
বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ছবিঘরের ‘এক টাকার দোকান’ প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনের যুদ্ধ বিধ্বস্ত অসহায় মানুষের মাঝে এক টাকায় ইফতার বিতরণ করলো।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ‘ছবিঘর’র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি মোহাম্মদ র্যালি’র নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার অসহায় মানুষের মাঝে এক টাকায় ইফতার বিতরণ করা হয়।
রমজানের শুরুর দিনেই সংগঠনটি শুরু করেছে তাদের এক টাকার বিনিময়ে ইফতার ও খাদ্য বিতরণ। গত বছরের ন্যায় এবছরও দেশ পেরিয়ে দেশের বাইরেও তারা আয়জোন করেছে এক টাকার দোকান। ৯ম রমজান থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শুরু করা হয় তাদের এই কার্যক্রম। প্রায় ২০০ মানুষের কাছে ইফতারের জন্য খাদ্য সামগ্রী কার্যক্রম পরিচালনা করেন ছবিঘরের ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি মোহাম্মদ র্যালি।
ফিলিস্তিনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোহাম্মদ র্যালি বলেন, ‘ছবিঘরের এই উদ্যোগটি সফল করতে পেরে আমি অনেক খুশি। ইজরাইল আমাদের জায়গা জোড় করে দখল করে রেখেছে ও নির্মম অত্যাচার করেছে আমরা এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ বাংলাদেশকেও আমাদের সবসময় পাশে পেয়েছি। ‘ছবিঘর’র মাধ্যমে সম্পর্ক আরও সু-দৃঢ় হয়েছে। ভবিষ্যতেও এভাবেই পাশে চাই।
ফিলিস্তিনে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণের ব্যাপারে ছবিঘরের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্স ঘোষ বলেন ‘আমরা এখন থেকে প্রতি বছরই চেষ্টা করবো ফিলিস্তিন সহ আরও কিছু যুদ্ধ পীড়িত ও অসহায় দেশের মানুষের জন্য
‘এক টাকার দোকান’ ও এক টাকায় ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ প্রকল্প ও কার্যক্রম পরিচালনা করার। এছাড়াও আমরা সেখানে যুদ্ধবিধস্ত শিশুদের জন্য ছোট্ট পরিসরে একটি স্কুল পরিচালনা করার চিন্তা করছি। এছাড়া চীনেও আয়োজন হওয়ার কথা আছে আমাদের এই এক টাকার দোকান।
উল্ল্যেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে ‘ছবিঘর’ সংগঠন শুরু করে ‘এক টাকার দোকান’ ‘এক টাকার সুপারশপ’ প্রকল্প যার মাধ্যমে এক টাকার বিনিময়ে অসহায় মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় খাবার। ২০২০ সালে করোনার প্রকোপ শুরু হলে ছবিঘরের স্বেচ্ছাসেবীরা প্রায় ৩০০০ মানুষের কাছে এক টাকার বিনিময়ে পৌঁছে দেওয়া হয় খাবার, জামা কাপড়সহ দরকারি জিনিসপত্র। ২০২১ সালে যুদ্ধবিধস্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য পাঠায় সাহায্য।