ভর্তি পরীক্ষা না দিয়েও চান্স মিলেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডি-১ উপ ইউনিটে।
এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে চলছে নানামুখী আলোচনা-সমালোচনা।
গত ৫ নভেম্বর বিকেলে ডি-১ উপ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ৬ নভেম্বর রাতে উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে ৪৯২৫৬১ ক্রমিকটি উত্তীর্ণদের তালিকায় আছে। তবে এই ক্রমিক নম্বরধারী পরীক্ষার্থী আফসারা তাসনিয়া ওই পরীক্ষায় অংশই নেননি।
গত বুধবার (১৭ নভেম্বর) ডি-১ উপ ইউনিটের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে একটি খুদেবার্তা পাঠানো হলে বিষয়টি ওই পরীক্ষার্থীর দৃষ্টিগোচরে আসে।
মেরিট লিস্টে নাম আসা ওই শিক্ষার্থী বাংলায় পেয়েছেন ১৪.৭৫, ইংরেজিতে ৪.৭৫ ও সাধারণ জ্ঞানে পেয়েছেন ১৬.৭৫। জিপিএ নম্বরসহ তার সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর দেখানো হয় ৫৫.৪৭।
এ বিষয়ে আফসারা তাসনিয়া বলেন, ‘আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এ, ডি ও ডি-১ ইউনিটের পরীক্ষার জন্য আবেদন করি।
‘তবে এ ও ডি ইউনিটের পরীক্ষা দিলেও এক দিন পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা থাকায় ডি-১ উপ ইউনিটের পরীক্ষা দেইনি। কিন্তু গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক খুদেবার্তায় জানানো হয় আমি ২০ ও ২১ নভেম্বরের ডি-১ উপ ইউনিটের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য যোগ্য। পরবর্তী সময়ে আমি মেরিট লিস্ট চেক করে দেখি আমার রোল মেরিট লিস্টে আছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে ইউনিট প্রধানেরা যে রেজাল্ট তৈরি করে পাঠান, আমরা সেটা শুধু প্রকাশ করি।’
এ বিষয়ে জানতে ডি-১ উপ ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী গণমাধ্যমকপ বলেন, এটা ঠিক আছে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়নি। তবে আরেক ছাত্র যার রোল নম্বর ‘৪৯২৫৬২’ এর স্থলে ‘৪৯২৫৬১’ লিখেছেন। এ জন্য এমনটা হয়েছে।
নিউজগার্ডিয়ান/এইচ আর