বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জে ক্রিকেট খেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।
এ সময় মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন ভবনের কাঁচ ভাংচুর হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (২১ নভেম্বর) রাত ৯টা থেকে থেমে থেমে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। রাত পৌঁনে ১ টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী মেডিকেলের মাঠে রাত ৮ টার দিকে ক্রিকেট খেলছিলো। এসময় মেডিকেলের প্রিন্সিপালের সাথে কয়েকজন ডাক্তার এবং কয়েকজন শিক্ষার্থী আসেন। শিক্ষকরা খেলার ব্যাট কেড়ে নেয় এবং প্রিন্সিপালের সামনে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএসডি বিভাগের শিক্ষার্থী অজয় দেবনাথের উপর আক্রমন করে। এ ঘটনার জেরে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ।
খেলায় অংশগ্রহন করা বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থী নাহিদ বলেম, ‘আমাদের খেলতে দিবেনা এমনিতেই বলতে পারতো তবে একজন অধ্যক্ষ্যের মুখের এমন বাজে কথা মানায় না। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের লেলিয়ে দিয়ে হামলা না করলেও পারতো।’
তবে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ জাকির হোসেন এটি অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দোষারোপ করেন।
নিউজ গার্ডিয়ান/এমআই/