ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কারের বিষয়টি প্রত্যাখান করেছে পদবঞ্চিতরা। তাদের দাবি- এ ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি।
সোমবার (২০ মে) রাতে এসব কথা জানান পদবঞ্চিতরা।
ছাত্রলীগের বিগত কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, আমাদের উপর দু’দফা হামলা হয়েছে। মধুর ক্যান্টিনে হামলার ঘটনায় অনেক কেন্দ্রীয় নেতা জড়িত ছিল। কিন্তু তাদের কিছুই করা হয়নি। অন্যদিকে জারিন দিয়া আহতও হলো, তাকে বহিষ্কারও করা হলো। এ রকমটা করবে বলেই আমরা ধারণা করেছিলাম।
সাবেক উপ-দফতর সম্পাদক শেখ নকিবুল ইসলাম বলেন, এটি ব্যক্তিগত আক্রোশ ছাড়া আর কিছুই না। জারিন দিয়া ঐদিন আহত হলো। অথচ তাকেই সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কি প্রমাণ করতে চান এইগুলো করে? যারা মূল কালপ্রিট, তাদের কাউকেই অভিযুক্ত করলেন না, বহিষ্কার করলেন না। জাতি এগুলো বুঝে। এগুলো প্রহসন ছাড়া কিছু না।
এর আগে সোমবারই ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হামলার ঘটনায় সংগঠনটির পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে জিয়া হল ছাত্রলীগ কর্মী সালমান সাদিককে। আর সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে- বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মুরসালিন অনু, জিয়া হল ছাত্রলীগের কর্মী সাজ্জাদুল কবির, কাজী সিয়াম ও সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য জারিন দিয়াকে।
নিউজ গার্ডিয়ান/ ০৪:১১/ ২১ মে