আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ৫০০ কোটি টাকা পাচার করেছে বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ই-কমার্সের আড়ালে গ্রাহককে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা পাচার ও অন্যত্র স্থানান্তর করেছে প্রতিষ্ঠানটি এমনাই দাবি করেছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি উচ্চ আদালতের করা ইভ্যালি পরিচালনার বোর্ডের নিরীক্ষা শেষ হলেই মামলা করবে সিআইডি। তবে অন্তর্বর্তীকালীন এ বোর্ডের নিরীক্ষা কবে নাগাদ শেষ হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি সংস্থাটি।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ভুক্তভোগীদের করা মামলার পর থেকেই ছায়া তদন্ত করছিলেন তাঁরা। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর ইভ্যালির বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার ও নামে-বেনামে অন্য খাতে এ পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
ইভ্যালির বিরুদ্ধে যদি অর্থ পাচারের মামলা হয়, এবং তা আদালতে প্রমাণ হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ ১২ বছরের সাজা হতে পারে। সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলার প্রস্তুতি নিতে থাকলেও সম্প্রতি ই-কমার্সের মাধ্যমে জালিয়াতিতে অর্থপাচারে অভিযোগে চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ই অরেঞ্জ, ধামাকা, এসপিসি ওয়ার্ল্ড ও টোয়েন্টিফোর টিকিট-এর বিরুদ্ধে দায়ের করা এসব মামলায় ১৯ ব্যক্তি ও ১১ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে ইভ্যালির নিয়ে বর্তমানে কাজ করছেন আদালত থেকে দেওয়া ৫ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন একটি বোর্ড।
বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নিরীক্ষা সংস্থা (অডিট ফার্ম) কেপিএমজির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে তারা কাজ শুরু করবে। এ প্রতিবেদনের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক ও তদন্তকারী সংস্থার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইভ্যালির বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ইভ্যালি কত টাকা পাচার করে থাকতে পারে তা জানতে পারেননি তিনি।
এর আগে অবশ্য গত নভেম্বর থেকে অর্থ পাচারের অভিযোগে ইভ্যালির বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছিল দুদক। কিন্তু সম্প্রতি দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহ বলেন, ই-কমার্স বা ইভ্যালির দুর্নীতি দুদকের শিডিউল ভুক্ত কাজ না। তাই অর্থ পাচারের তদন্ত থেকে সরে এসেছে দুদক।
নিউজ গার্ডিয়ান/ এমএ/