ইভ্যালির হাইকোর্ট গঠিত বোর্ডের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, ইভ্যালির কার্যালয়ে গোপন দুটি সিন্দুক আছে। আমাদের ধারণা সেসব সিন্দুকে চেকবইসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা পেতে পারি।
মঙ্গলবার হাইকোর্ট গঠিত এই বোর্ডের প্রথম সভা শেষে গণমাধ্যমকে এই কথা জানান তিনি।
এই সময় তিনি আরও বলেন, ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী প্রতিমাসে দুবাই যেতেন। তারজন্য আমরা ধারনা করছি তিনি সেখানে গিয়ে অর্থ পাচার করতেন।
তিনি বলেন, ইভ্যালির প্রত্যেক কর্মকর্তার কাছে একটি ল্যাপটপ ছিল। যেগুলো ছিল ইভ্যালির সম্পত্তি। এসব সম্পত্তি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবো আমরা।
এছাড়া তিনি জানান, ইভ্যালির কর্মকর্তাদের ডাকা হবে। যদি তারা না আসতে চায় তাহলে আইনের মাধ্যমে তাঁদেরকে বাধ্য করা হবে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইভ্যালির আইনজীবি নতুন চেয়ারম্যানের এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইভ্যালির পক্ষ থেকে আলোচ্য চেয়ারম্যান জনাব মানিকের এইসব মানহানিকর, অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে তাঁদের আইনি দলকে আইনি পদক্ষেপ নেবার অনুরোধ করা হয়েছে এবং সকল বিষয়ে অবহিতও করা হয়েছে।
নিঝুম মজুমদার উল্লেখ করেন, ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ আলোচ্য চেয়ারম্যানকে তাঁর এই পদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অযোগ্য বলে মনে করছে এবং আইনি দলকে তাঁর ব্যাপারে সম্ভাব্য সকল ধরনের যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেবার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।
হাইকোর্ট গঠিত এই বোর্ডের অন্য সদস্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ উপস্থিত ছিলেন।
নতুন বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন বলেন, সভায় আমরা হাইকোর্টের রায় পর্যালোচনা করেছি। সে অনুযায়ী কাজ শুরু করছি। আমাদের প্রথম কাজই হচ্ছে অডিট করা। অডিটের জন্য দ্রুত আমরা একটা কোম্পানি নিয়োগ দেবো। হয়তো ১৫ দিনের মধ্যেই অডিট কোম্পানি নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অডিট রিপোর্ট আসার পর সবকিছু বোঝা যাবে। কোম্পানির আয়-ব্যয়ের প্রকৃত চিত্র উঠে এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো আমরা। কোম্পানি চলবে কি চলবে না, এটা অডিটের পর বোঝা যাবে। অডিটের আগে আমরা অন্য চিন্তা করছি না। আগে ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটিটা দেখবো।
ইভ্যালির ওয়েবসাইট ও অ্যাপস খোলার বিষয়ে তিনি বলেন, সেগুলো যা যা করা লাগে, সবই হবে। চিন্তার কিছু নেই। কারণ, ওই জিনিসগুলো অডিট টিমের মেইন থিং। সেগুলো তো আমরা প্রোভাইড করবো।
নিউজ গার্ডিয়ান/ এমএ/