অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা গেছে যে ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি পরিচালনা করবার জন্য মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশিত পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান, আপীলেট ডিভিশানের সাবেক বিচারপতি জনাব এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এই বিষয়ে তাঁর দায়িত্ব প্রাপ্তির ঠিক পরপর বিভিন্ন মিডিয়াতে ইভ্যালি; ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্রমাগতভাবে মানহানিকর ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান করে চলেছেন।
গত বেশ কিছুদিন ধরে মিডিয়াতে দেয়া তাঁর বক্তব্য অত্যন্ত বিষ্ময়কর, অপ্রত্যাশিত এবং অবশ্যই মানহানিকর যা ইভ্যালির যারা ভোক্তা, মার্চেন্ট বা শুভানুধ্যায়ী রয়েছেন তাঁদের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তিকর ও বিভ্রান্তকর বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
মহামান্য হাইকোর্ট তাঁর উল্লেখিত নির্দেশনায় এই পরিচালনা পর্ষদের ‘চেয়ারম্যানের’ প্রতি মাত্র দুইটি দায়িত্ব অর্পণ করেছেন বলেই আমরা দেখতে পেয়েছি। চেয়ারম্যানের প্রতি এই দুইটি নির্দেশনা হচ্ছে-
(১) মহামান্য হাইকোর্টের ইভ্যালি বিষয়ে তাৎক্ষনিক নির্দেশ ও নির্দেশনা এই গঠিত বোর্ডের পরিচালকদের বুঝিয়ে বলবেন।
(২) কোম্পানির সমস্ত খুঁটি-নাটি (specific details/Nitty-Gritty) দেখবার জন্য তাঁর সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন কোম্পানির আর্টিকেল অফ মেমোরান্ডামের মাধ্যমে, কোম্পানির সর্বশেষ অডিট রিপোর্টের মাধ্যমে,শিডিউল-১০ ও ফর্ম-১২ এবং একইসাথে এইসব কর্ম পরিচালনার জন্য কোম্পানির কর্মচারি ও কর্মকর্তাগনের সাহায্য নেবার কথাও সু-স্পস্ট বলা রয়েছে।
মাননীয় হাইকোর্টের নির্দেশনায় কোথাও চেয়ারম্যানের প্রতি তদন্তের নির্দেশ নেই কিংবা মিডিয়াতে তা প্রকাশ করবারও নির্দেশনা নেই।
হাইকোর্টের নির্দেশনার দিন থেকে এবং প্রথম সভা বসবার দিনের মধ্যবর্তী সময়ে তিনি কোম্পানি, কোম্পানির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং এর অভিযোগ তুলে যেসব বক্তব্য ও তথ্য মিডিয়াতে দিয়েছেন সেগুলো তিনি ঠিক কোন তদন্তের ফলশ্রুতিতে দিয়েছেন কিংবা কোন এখতিয়ারে দিয়েছেন কিংবা আদৌ এখতিয়ার রয়েছে কিনা সেটা তিনি কখনই স্পস্ট করেন নি।
মহামান্য আদালত সম্মানিত চেয়ারম্যানকে কোন ধরনের বিচারিক অধিকার তাঁদের নির্দেশনায় দেননি কিংবা তথ্য-প্রমাণ ব্যাতিত এই কোম্পানি বা কোম্পানির কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা অন্য কোনো মাধ্যমেও মানহানিকর বক্তব্য প্রদানের নির্দেশনাও দেন নি।
বিশেষ করে (২৬-১০-২০২১) পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভায় তিনি মিডিয়ার কাছে প্রকাশ্যে ইভ্যালির অফিসে কিছু সিন্দুক রয়েছে বলে অপ্রত্যাশিত ইঙ্গিত এবং ইভ্যালির প্রধান নির্বাহি প্রতিমাসে দুবাইয়ে গিয়ে অর্থ পাচার করে আসতেন বলে স্পস্টভাবে উল্লেখ করেছেন যা ইভ্যালির প্রধান নির্বাহির বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য এবং একইসাথে অত্যন্ত মানহানিকর।
ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ আইনি দলকে জানিয়েছেন যে মহামান্য হাইকোর্ট পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটি একজন ব্যাক্তির কর্মকান্ড কিংবা বক্তব্যের ফলে কোনোভাবেই ব্যার্থ হতে পারেনা এবং তা হলে সেটি হবে চরম হতাশার ও আশাভঙ্গের কারন।
ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ আইনি দলকে আরো জানিয়েছেন যে তাঁরা মনে করেন আলোচ্য চেয়ারম্যান একজন ‘বায়াসড’ ব্যাক্তি যিনি প্রাক-সিদ্ধান্ত নিয়ে এই সম্মানিত পর্ষদকে বিভ্রান্ত করছেন এবং তিনি স্পস্টত তাঁর এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ করেছেন।
ইভ্যালির পক্ষ থেকে আলোচ্য চেয়ারম্যান জনাব মানিকের এইসব মানহানিকর, অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে তাঁদের আইনি দলকে আইনি পদক্ষেপ নেবার অনুরোধ করা হয়েছে এবং সকল বিষয়ে অবহিতও করা হয়েছে।
ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ আলোচ্য চেয়ারম্যানকে তাঁর এই পদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অযোগ্য বলে মনে করছে এবং আইনি দলকে তাঁর ব্যাপারে সম্ভাব্য সকল ধরনের যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেবার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে নিঝুম মজুমদার তার ফেসবুক পেইজে এই পোস্টটি দেন। যেটি হুবহুব উপরে তুলে ধরা হয়েছে।
নিউজ গার্ডিয়ান/ এমএ/