রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রাতনিধি:
পটুয়াখালী জেলায় রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবীতে খাস জমির গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে আক্কাস ফরাজী (ভিডিপি আক্কাস) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আক্কাস ফরাজী স্থানীয় আনসার ভিডিপি কমান্ডার। বন বিভাগের বাঁধার মুখে গাছগুলো স্তুপ করে রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মৌডুবীর নিজকাটা এলাকায় বেরিবাধের বাইরে সরকারি খাস জমির অর্ধশতাধিক কেওড়া গাছ কাটা হয়েছে। কাটা গাছগুলো স্তুপ আকারে সাজিয়ে রাখা আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেরিবাঁধের বাইরে খাস জমির কেওড়া গাছ নিজের দাবি করে বিক্রয় করে অভিযুক্ত আক্কাস ফরাজী। গাছগুলো ১৬০০০টাকায় নাসিম নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ক্রয় করেন। কিন্তু জমির মালিকানা কিংবা গাছ কাটার অনুমতিপত্র কিছুই দেখাতে না পারায় গাছ কাটতে অস্বীকৃতি জানান নাসিম। পরবর্তীতে আক্কাস নিজেই দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে লোক নিয়ে গাছগুলো কাটিয়েছেন। গাছ ক্রেতা নাসিম বলেন, “আমি গাছ কিনছি তা সত্য। তবে সরকারি জমির গাছ কিনি নাই। খাস জমির গাছ হইলে টাকা ফেরত নিমু।”
অভিযুক্ত আক্কাস ফরাজি নিজের জমি দাবি করে বলেন, এই জমি আমার। ওয়াবদার (বেরিবাধ) পাশে থাকায় খাসজমি মনে করে। তহশিলদার ও বন বিভাগের অফিসার আপত্তি দেওয়ায় গাছ কাটা বন্ধ করছি।”
এ বিষয়ে মৌডুবী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান রাসেল বলেন, ” বিষয়টি আমি শুনেছি। খাস জমির গাছ হলে তা ব্যক্তিগত হয় না। বনবিভাগের আওতায় থাকলে সে গাছ কাটার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে।”
এ বিষয়ে বন বিভাগের স্থানীয় বিট অফিসার শোয়েব খান বলেন,”এই গাছ কাটার জন্য কোনো অনুমতি দেয়া হয় নি। খাস জমির গাছের মালিক সরকার। অনুমতি ছাড়া সরকারি জমির গাছ কাটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ” এ বিষয়ে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।